ছত্রাকের মাইসেলিয়ামের রোগ এবং কীটপতঙ্গের ধরন: ফটো, নাম এবং সংক্রামক ছত্রাকজনিত রোগ এবং পোকামাকড়ের কার্যকারক এজেন্ট
বন্যপ্রাণী রাজ্যের সমস্ত প্রতিনিধিদের মতো, মাশরুমগুলি রোগ এবং কীটপতঙ্গ থেকে অনাক্রম্য নয়। সবচেয়ে সাধারণ ছত্রাকজনিত রোগ যা চাষের সময় মাইসেলিয়ামকে সংক্রমিত করে তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দাগ এবং পচা। সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকের কীট হল মাছি, টিক্স, মশা, নেমাটোড এবং বিভিন্ন ধরণের ইঁদুর।
মাশরুম বাড়ানো একটি মজাদার এবং ভালভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া। একটি প্রচুর ফসল অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। কখনও কখনও কৃষক একটি উল্লেখযোগ্য ফসল পেতে ব্যর্থ হয়. এটি অ্যাবায়োটিক এবং জৈব উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। আগেরগুলির মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিক আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, কম্পোস্ট এবং মাটিতে আর্দ্রতার মাত্রা। জৈবিক কারণগুলির মধ্যে রয়েছে রোগ এবং ছত্রাকের কীটপতঙ্গ। নেতিবাচক কারণগুলির ক্ষেত্রে ছত্রাকের বিকাশের যে কোনও পর্যায়ে রোগগুলি উপস্থিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন মাইসেলিয়াম গঠিত হয়, তখন নেতিবাচক মান সহ কম্পোস্ট একটি রোগের উপস্থিতি ঘটাতে পারে। মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে জৈব উপাদানগুলি সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে, কারণ তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলি তাদের উপসর্গগুলির সাথে একই রকম। প্রকৃতপক্ষে, রোগের চিকিত্সার জন্য, এর কারণটি নির্মূল করা প্রয়োজন, যা লক্ষণগুলির সাদৃশ্যের কারণে নির্ধারণ করা বরং কঠিন।
আপনি এই নিবন্ধে ছত্রাকজনিত রোগের নাম এবং বর্ণনার পাশাপাশি তাদের সাথে লড়াই করার উপায়গুলির সাথে নিজেকে পরিচিত করতে পারেন।
ছত্রাকজনিত রোগের লক্ষণ
ছত্রাকজনিত রোগের সবচেয়ে সাধারণ জৈবিক লক্ষণগুলি হল পরজীবী এবং বিরোধী ছত্রাক, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং কীটপতঙ্গ (নেমাটোড, টিক্স, মাছি)। রোগটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আপনার একটি বাইনোকুলার, একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস, ইত্যাদির আকারে সবচেয়ে সহজ সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি আপনার রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে সন্দেহ করেন তবে আপনাকে বিশ্লেষণের জন্য একটি পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠাতে হবে।
পরজীবী ছত্রাক, তাদের জন্য অনুকূল পরিস্থিতিতে, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মাশরুমগুলিকে দৃঢ়ভাবে সংক্রমিত করতে সক্ষম। পরজীবী ছত্রাক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দ্বারা আলাদা করা হয়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্পোর-বিয়ারিং কাঠামো। এই ছত্রাকের বেশিরভাগই মাইসেলিয়ামকে প্রভাবিত করে না, তবে ফলের শরীরকে প্রভাবিত করে। পরজীবী যত তাড়াতাড়ি উপস্থিত হবে, মাশরুমের ক্ষতি তত বেশি হবে। তারা কেবল তাদের বিকাশকে দমন করতে পারে বা তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে পারে।
চাষকৃত ছত্রাকের উপর বিরোধী ছত্রাকের প্রভাব খারাপভাবে বোঝা যায় না। প্রায়শই তারা অনুপযুক্তভাবে প্রস্তুত কম্পোস্টের কারণে উপস্থিত হয়। কিছু ধরণের মাশরুম বেড়ে ওঠা মাশরুমের মাইসেলিয়ামের সাথে বৃদ্ধি পায়, তাদের থেকে পুষ্টি কেড়ে নেয়। অন্যান্য বিরোধীরা মাইসেলিয়ামের বিকাশের পরে উপস্থিত হয় এবং মাইসেলিয়ামের সমস্ত অংশে একটি হতাশাজনক প্রভাব ফেলে, এর বিকাশ এবং বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। যাই হোক না কেন, তারা ফলন কমিয়ে দেয়। বিরোধী ছত্রাক কম্পোস্টে বা মাটির পৃষ্ঠে মাইসেলিয়াম বা স্পোর দ্বারা দেখা যায়। এগুলিকে প্রায়শই প্লাস্টার ছাঁচ, লিপস্টিক ছাঁচ, জলপাই ছাঁচও বলা হয়।
মাশরুমের সাথে কাজ করার সময় ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি অন্য ধরণের কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যথায়, আপনি মাটি থেকে সাবস্ট্রেটে বীজ স্থানান্তর করতে পারেন।
আগাছা মাশরুমগুলিও চাষকৃত মাশরুমগুলির সাথে একসাথে বেড়ে উঠতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, মাশরুম মাশরুম প্রায়ই মাশরুম পাওয়া যায়। এটি বিকশিত হয় যখন সাবস্ট্রেট জলাবদ্ধ থাকে এবং এতে মুক্ত অ্যামোনিয়া থাকে।
কালি মাশরুম শুধুমাত্র প্রতিদিন কাটা এবং ধ্বংস করা যেতে পারে যাতে ব্যাগগুলিতে দাগ না পড়ে। সময়ের সাথে সাথে, তারা উপস্থিত হওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু চাষকৃত মাশরুমের ফলন কমছে, কারণ কালি মাশরুম তাদের কিছু পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করেছে।
গোবর বিটল একটি প্রতিযোগিতামূলক ঝিনুক মাশরুম। এটি তাদের পুষ্টি গ্রহণ করে, যার ফলে ফলন হ্রাস পায়। এটি গাছপালা থেকে অপসারণ এবং ধ্বংস করা উচিত।এর চেহারা রোধ করতে, আপনি ঝিনুক মাশরুম সঙ্গে শয্যা কাছাকাছি গাছপালা খাওয়ানো যাবে না।
মাশরুম চাষে ব্যাকটেরিয়া দ্বৈত ভূমিকা পালন করে। কিছু ধরণের ব্যাকটেরিয়া কেবলমাত্র মাইসেলিয়ামের সফল বিকাশের জন্য, স্তরটির জন্য প্রয়োজনীয়; অন্যরা, অন্যদিকে, গুরুতর অসুস্থতার কারণ। চাষকৃত ছত্রাকের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং গুরুতর রোগগুলির মধ্যে একটি ব্যাসিলাস দ্বারা সৃষ্ট। ব্যাকটেরিয়া মাইসেলিয়ামে থাকে এবং এর বিকাশকে প্রভাবিত করে না। কিন্তু তারা ফলদায়ক দেহের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়, তাদের বিকৃত করে।
মাশরুম ক্রমবর্ধমান যখন রোগ
বাদামী প্লাস্টার একটি বাদামী ছাঁচ ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট. আরো প্রায়ই মাশরুম প্রভাবিত করে। একটি কাঁচা বা অপরিপক্ক স্তরে মুক্ত অ্যামোনিয়া উপস্থিত থাকলে ঘটে। এছাড়াও, এর উপস্থিতির কারণগুলি বায়ু এবং স্তরের উচ্চ আর্দ্রতা এবং অপর্যাপ্ত বায়ুচলাচল হতে পারে। প্যাথোজেন মাশরুমের মতো একই পুষ্টি খায়, তাই একে সঙ্গী মাশরুমও বলা হয়। আবরণ স্তরে বা স্তরের পৃষ্ঠে বিভিন্ন আকারের সাদা দাগ দেখা যায়। যদি মাইসেলিয়াম আপনার আঙ্গুল দিয়ে ঘষা হয়, তাহলে একটি চরিত্রগত মিষ্টি গন্ধ অনুভূত হয়। কিছুক্ষণ পর মাঝখান থেকে দাগ কালো হতে শুরু করে। এর মানে হল যে স্পোরুলেশন শুরু হয়। স্পোরগুলি বাদামী-কফি রঙের হয়। সাদা দাগগুলি ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং স্পোরগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, স্তর সঠিকভাবে কম্পোস্ট এবং পাস্তুরিত করা আবশ্যক। রুম ক্রমাগত বায়ুচলাচল করা উচিত, এবং স্তর জিপসাম সঙ্গে পরাগায়ন করা উচিত।
ট্রাফল রোগ দুই-রিংযুক্ত শ্যাম্পিননে প্রায়শই ঘটে এবং এটি ডিহলিওমাইসিস মাইক্রোস্পরিয়াস (ডাইহেল এবং ল্যাম্ব) গিল দ্বারা সৃষ্ট হয়। মিথ্যা ট্রাফল মাটিতে বাস করে। মাটিতে কম্পোস্ট করার সময় এটি সাবস্ট্রেটে প্রবেশ করে। এটি সাবস্ট্রেটের উচ্চ তাপমাত্রায় বরং দ্রুত বিকাশ শুরু করে। মিথ্যা ট্রাফলের মাইসেলিয়াম প্রথমে অদৃশ্য। এটি মাশরুম মাইসেলিয়ামকে বাধা দেয়, যার ফলন দ্রুত হ্রাস পায়। ধীরে ধীরে, চাষকৃত ছত্রাকের মাইসেলিয়াম সম্পূর্ণরূপে মারা যায় এবং স্তরটি সান্দ্র হয়ে যায়, এতে আপনি ইতিমধ্যে মাইসেলিয়ামের ঘন ফিলামেন্টগুলি দেখতে পারেন - রাইজোমর্ফস। কিছুক্ষণ পরে, তাদের উপর মাশরুমের ছোট দেহ তৈরি হয়, যা একটি বাছুরের মস্তিষ্কের মতো। এগুলি ছত্রাকের ফলদায়ক দেহ। এরা হলদে-সাদা রঙের। তারপরে তারা অন্ধকার হয়ে যায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায়, কারণ তারা স্পোরে পরিণত হয় যা একটি নতুন স্তরকে সংক্রামিত করে। বিতর্ক খুবই কার্যকর। তারা সাবস্ট্রেটের তাপ চিকিত্সা সহ্য করতে পারে।
এই ধরনের ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, মাটির মেঝেতে কম্পোস্টিং করা উচিত নয়। পাইলসের তাপমাত্রা যতটা সম্ভব বেশি হওয়া উচিত। কম্পোস্ট এলাকা মিশ্রিত করা উচিত। বাধার পরে, পাইলসগুলিকে কপার সালফেটের 1% দ্রবণ দিয়ে স্প্রে করতে হবে। কভার স্তর তাপীয়ভাবে চিকিত্সা করা উচিত। ল্যান্ডফিলে নিষ্পত্তি করার আগে দূষিত সাবস্ট্রেট সবসময় ব্যাগে প্যাক করা উচিত। এটি এটি থেকে আশেপাশের বস্তুগুলিতে স্পোর স্থানান্তর রোধ করতে সহায়তা করবে।
ব্যাকটেরিয়াল স্পট মাইসেলিয়ামের উপর কালো দাগ হিসাবে উপস্থিত হয়। এই রোগের কারণ হল জলাবদ্ধ স্তরে ব্যাকটিরিওসিস বিকাশ। এগুলিও দেখা দিতে পারে যদি স্তরটি অপর্যাপ্ত বা অনুপযুক্ত তাপ চিকিত্সার মধ্য দিয়ে থাকে, বা যদি স্তরটির ইনকিউবেশনের সময় তাপমাত্রা শাসন পরিলক্ষিত না হয়। ছত্রাকের মাইসেলিয়ামের এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, কাজের সমস্ত পর্যায়ে সমস্ত প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলি কঠোরভাবে পালন করা এবং পছন্দসই মাইক্রোক্লিমেট বজায় রাখা প্রয়োজন।
স্তরটি কখনও কখনও ট্রাইকোডার্মা দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই রোগের ফলে এটিতে সবুজ ছাঁচের ছোপ পড়ে যা ফলন কমিয়ে দেয়। দূষিত স্তর অবিলম্বে ধ্বংস করা উচিত। এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, স্তর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাপ চিকিত্সা করা আবশ্যক। এটাও লক্ষ্য করা গেছে যে সিলেক্টিভ সাবস্ট্রেট এই রোগের সংক্রমণের জন্য কম সংবেদনশীল।
কখনও কখনও মাশরুম একটি পাতলা লম্বা কান্ডের উপর একটি ছোট টুপি দিয়ে বৃদ্ধি পায়। এই প্রভাবটি সংশোধন করার জন্য, অতিরিক্তভাবে ঘরটি বায়ুচলাচল করা প্রয়োজন।এটি একটি প্রচলিত পাখা দিয়ে করা যেতে পারে বা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে অগ্রভাগ সহ একটি ব্লোয়ার তৈরি করা যেতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষণ প্রতিরোধ করার জন্য, সমস্ত ঘরে বছরে 2 বার ব্লিচের 2-4% দ্রবণ দিয়ে স্প্রে করা উচিত। তারপর তাদের 2 দিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। তারপরে 2 দিনের জন্য ভালভাবে বায়ুচলাচল করুন। বছরে দুবার, সমস্ত দেয়াল ব্লিচের 1% দ্রবণ দিয়ে সাদা করা উচিত। সাবস্ট্রেটের সমস্ত অবশিষ্টাংশ অবশ্যই সাবধানে মুছে ফেলতে হবে।
মরিচা ধরা জায়গা স্পষ্টভাবে রূপরেখা মরিচা দাগ হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করে। সময়ের সাথে সাথে তারা অন্ধকার হয়ে যায়। এই ছত্রাকজনিত রোগের ব্যাকটেরিয়া উচ্চ আর্দ্রতায় উপস্থিত হয়। এই রোগটি একবারে পুরো আবাদকে দ্রুত কভার করতে পারে। রোগ প্রতিরোধের জন্য সেচের পানিতে ক্লোরিনযুক্ত যেকোনো জীবাণুনাশক যোগ করতে হবে।
যে কোনো চাষ করা মাশরুমে ভাইরাস বা ভাইরাসের মতো কণা থাকে। এগুলি বিভিন্ন আকার এবং আকারে আসে। এই মুহুর্তে, চাষ করা মাশরুমের বিকাশে ভাইরাসগুলির নির্দিষ্ট প্রভাব অজানা। একমাত্র নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে সমস্ত ভাইরাস এবং তাদের কণা ফলন হ্রাস বা এমনকি ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়, ফলের দেহের বৃদ্ধিতে বিভিন্ন অসঙ্গতির দিকে নিয়ে যায়, যা ছত্রাকের আকারে পরিবর্তন ঘটায় (প্রথম দিকে খোলা টুপি, খুব লম্বা পা)।
সাদা পচা চাষ করা মাশরুমের সবচেয়ে সাধারণ রোগগুলির মধ্যে একটি। সে পুরো বাগান ধ্বংস করতে পারে। এই ছত্রাকজনিত রোগের কার্যকারক কেসিং স্তরে পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধের জন্য এটি জীবাণুমুক্ত করা উচিত। আক্রান্ত মাশরুম অপসারণ এবং পুড়িয়ে ফেলা আবশ্যক। বিছানায় একটি জীবাণুনাশক ক্লোরিন দ্রবণ দিয়ে জল দেওয়া প্রয়োজন।
উস্ক শুষ্ক এছাড়াও প্রায়ই চাষ মাশরুম সংক্রমিত. এর প্যাথোজেন মাটির আবরণে অবস্থিত। এটি চাষ করা মাশরুমগুলিকে সংক্রামিত করে - তাদের উপর বাদামী দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত মাশরুমের পা পুরু হয়ে যায়; পুরানো মাশরুমে এমনকি ফাটল ধরে। এই ধরনের মাশরুম অবিলম্বে অপসারণ এবং ধ্বংস করা আবশ্যক। এই রোগ প্রতিরোধ করতে, আবরণ স্তর জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক।
ছত্রাকজনিত রোগের প্রধান লক্ষণগুলি এই ফটোগুলিতে দেখানো হয়েছে:
চাষকৃত মাশরুমের কীটপতঙ্গ
চাষকৃত ছত্রাকের কীট হল মাশরুম মাছি, টিক্স, মশা, নেমাটোড এবং মুরিন ইঁদুর।
মাশরুম উড়ে যায় প্রায়শই চাষকৃত ছত্রাককে সংক্রামিত করে এবং মাইসেলিয়াম এবং ফ্রুটিং বডিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সংস্পর্শে আসে। মাছিরা নিজেরাই আসে, তারা মাশরুমের গন্ধে আকৃষ্ট হয়। এগুলি সাবস্ট্রেটের সাথেও আনা যেতে পারে। উষ্ণ আবহাওয়ায় মাছিদের ছত্রাক আক্রমণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যখন বাতাসের তাপমাত্রা 17 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে।
মাশরুমের মাছিগুলি মাইসেলিয়ামের বৃদ্ধি এবং পরিপক্কতার সময় একত্রে বিকশিত হয়। এই সময়ে, সাবস্ট্রেটটি বাড়ির ভিতরে থাকে। এটি সাধারণত 5-6 সপ্তাহের জন্য রাখা হয় এবং 24-38 দিনের মধ্যে 20-30 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় লার্ভা প্রাপ্তবয়স্ক উড়ন্ত মাছিতে পরিণত হয়। এই সময়কাল তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার মতো আরামদায়ক সূচকগুলির সাথে কীটপতঙ্গের বিকাশের জন্য সবচেয়ে অনুকূল।
এই ছত্রাকের কীটপতঙ্গের লার্ভা দেখা দেওয়ার প্রথম লক্ষণ হল মাশরুম ব্লকের ছিদ্রের চারপাশে গাঢ় দাগ।
যদি বিভিন্ন বয়সের সামগ্রী বাড়ির ভিতরে সংরক্ষণ করা হয় (পুরানো ব্লকে থাকা মাছি এবং মশা নতুনগুলিকে সংক্রামিত করে) তাহলে বিপদ বাড়ে। পোকা প্লাস্টিকের গর্ত দিয়ে প্রবেশ করে এবং ডিম পাড়ে। তাদের থেকে উদ্ভূত লার্ভা মাইসেলিয়ামের ক্ষতি করে, যা ফলস্বরূপ, ছাঁচযুক্ত ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রামিত হয়।
মাশরুম মাছি মোকাবেলার প্রধান ব্যবস্থা প্রতিরোধমূলক। তারা স্তর মধ্যে mycelium বপন আগে বাহিত করা উচিত। সাবস্ট্রেট স্থাপনের আগে এবং মাশরুমের আরও যত্নের সময় সংক্রমণের সমস্ত উত্স অপসারণ করতে হবে। রুম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা উচিত। যদি বাতাসে প্রচুর পরিমাণে বাষ্প এবং ক্ষতিকারক গ্যাস থাকে তবে কাজের সময় গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যদি মাশরুমের উত্পাদন বেশ বড় হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রস্তুতি ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজ শুরু করার আগে, পুরো ঘরটি মনোফোস বা পোগোস প্রস্তুতির (1000 মি - 800 গ্রাম জন্য) বাষ্প দিয়ে ধূমায়িত করা উচিত। এর পরে, ঘরটি কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখতে হবে। তারপর ভালভাবে বায়ুচলাচল করুন এবং কয়েক দিন পর অপারেশনটি পুনরাবৃত্তি করুন। এই ওষুধগুলি শক্তিশালী বিষ, তাই আপনাকে তাদের সাথে খুব সাবধানে কাজ করতে হবে। হালকা ফাঁদ, স্টিকি টেপ এবং হাতে ধরা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলিও মাছি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। তারা ভ্যানিলার মতো কিছু গন্ধ থেকেও ভয় পায়।
একই উদ্দেশ্যে, একে অপরের থেকে আলাদাভাবে ইনকিউবেশন এবং চাষের ঘরগুলি সজ্জিত করা ভাল।
এছাড়াও, সাধারণ ঘরের মাছিরা তাদের লার্ভা সাবস্ট্রেটে রাখতে সক্ষম হয়।
উপরন্তু, slugs স্তর উপর প্রদর্শিত হতে পারে। তারা মাশরুমের ফলদায়ক দেহ নষ্ট করে। স্লাগগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, পটাসিয়াম লবণ বা সুপারফসফেট ব্যবহার করা হয়, যা বছরে 3-4 বার মাটিতে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
মাশরুম ভুতু মাশরুম এবং ঝিনুক মাশরুমের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কীটপতঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এটি একটি খুব ছোট পোকা যার দৈর্ঘ্য মাত্র 3 মিমি। মশা দ্রুত এবং ভালভাবে উড়ে যায়, ঠিক সেই ঘরে চলে যায় যেখানে কম্পোস্ট এবং মাইসেলিয়ামের গন্ধ সুস্বাদু। প্রতিটি মহিলা 200টি পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম। কয়েক দিন পরে, তাদের থেকে লার্ভা দেখা যায়, কালো মাথার সাদা কৃমির মতো। এগুলি 4-6 মিমি লম্বা এবং খালি চোখে সহজেই দেখা যায়। তারা 12-20 দিন বেঁচে থাকে। এই সময়ে, লার্ভা পুরো ফসল ধ্বংস করতে পরিচালনা করে। তারা মাশরুম এবং মাইসেলিয়াম উভয়ই খায়। পণ্যের মানও কমছে। উপরন্তু, মশা টিক, প্যাথোজেনিক অণুজীবের স্পোর, নেমাটোড বহন করে।
লার্ভা ধীরে ধীরে পিউপাতে পরিণত হয়, তারপর, 4-7 দিন পরে, প্রাপ্তবয়স্কে।
এই পোকামাকড় খুব দ্রুত বিকশিত হয় এবং অত্যন্ত উর্বর। তারা প্রায় তাত্ক্ষণিকভাবে সমগ্র মাইসেলিয়াম পূরণ করে। অতএব, তাদের মোকাবেলা করা খুব কঠিন। এটি উপদ্রব প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ, অর্থাৎ প্রথম স্তরে কীটপতঙ্গের ডিম পাড়া প্রতিরোধ করা। কেন বায়ুচলাচল গর্ত উপর সূক্ষ্ম জাল ইনস্টল করা প্রয়োজন. অতিরিক্ত চাপ রুমে নিজেই তৈরি করা আবশ্যক। সমস্ত ফাটল মেরামত করা উচিত এবং দরজা সিল করা উচিত; আপনি আঠালো ফাঁদও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন, মাছিদের বিরুদ্ধে সাধারণ স্টিকি টেপ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এই উদ্দেশ্যে, কিছু উদ্যানপালক হালকা ফাঁদ ব্যবহার করেন এবং বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
যদি উপরের সবগুলি কাজ না করে, তবে সুরক্ষার রাসায়নিক উপায়গুলি ব্যবহার করা আবশ্যক।
এগুলি সাধারণত উত্পাদন চলার মধ্যে প্রাঙ্গণকে জীবাণুমুক্ত করতে বা যখন মাইসেলিয়াম সবেমাত্র বাড়তে শুরু করে তখন সাবস্ট্রেট এবং আবরণ উপাদানগুলির উপরিভাগের চিকিত্সা করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি ফসল কাটা শুরুর 25 দিনের আগে করা উচিত নয়।
যদি কীটনাশকের সময় এবং ডোজ লঙ্ঘন করা হয় তবে এটি কুৎসিত ফলদায়ক দেহের উপস্থিতি ঘটাতে পারে, মাশরুমের বৃদ্ধিতে বিলম্ব করতে পারে এবং মাশরুমগুলিতে অবশিষ্ট পরিমাণে কীটনাশক জমা হতে পারে। অতএব, মাশরুম বাছাইকারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল ফল গঠনের সময় কীটনাশক ব্যবহার না করা।
কাজ শুরু করার আগে, সমস্ত সরঞ্জাম এবং জুতা একটি 50% ফরমালিন দ্রবণ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা উচিত। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কাজের তরল অবশ্যই অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত: কম্পোস্টের জন্য 0.2 লি / মিটারের বেশি নয়, এবং কভার উপাদানের জন্য একটু বেশি - 1 লি / মি। Bacillus Thuringiensis-এর উপর ভিত্তি করে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল প্রস্তুতিগুলি মাশরুম মশার বিরুদ্ধে সেরা। কিন্তু তাদের কাজের ডোজ কম - প্রায় 25-30 গ্রাম / মি, তবে এই ওষুধগুলি পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
আপনি মাশরুম মশার বিরুদ্ধে লোক প্রতিকার প্রয়োগ করতে পারেন। শয্যা টমেটো টপস দিয়ে আবৃত করা আবশ্যক, ডিল তেল দিয়ে স্প্রে।
মাশরুম রুমের আশেপাশে শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে ক্রমাগত মাইসেলিয়াম থেকে কৃমি ফলদায়ক দেহগুলি অপসারণ করতে হবে।
সারণী "মাশরুম ফসলে মাশরুম মশার বিরুদ্ধে অনুমোদিত প্রস্তুতি":
| নাম | দৃঢ় | আদর্শ, ml/m2 | সর্বোচ্চ একদা | নিয়োগ | |||
| কার্বো ফস | ঘরোয়া | 0,5 | 1 | জন্য প্রাঙ্গনে | |||
| অ্যানোমেট- রিন | ঘরোয়া | 0,5 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| অ্যাটেলিক | আই-সি-আই, ইংল্যান্ড | 0,5 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| Cymbush | আই-সি-আই, ইংল্যান্ড | 0,5 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| অ্যারিভো | FMS, আমেরিকা | 0,5 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| নুরেল | ডাও এল্যাঙ্কো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | 0,6 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| রিপকর্ড | শেল, ইংল্যান্ড | 0,3 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| রোভিনাইল | হাঙ্গেরি | 1,2 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
| ডিমিলিন | দুফার, গোল্লান দিয়া | 1 «3 | 2 | পৃষ্ঠতল স্তর | |||
মাইটস খড়ের উপর জন্মালে ছত্রাকের জন্যও কীট। মাইটগুলি মশার চেয়ে আকারে ছোট - প্রায় 1 মিমি। এদের শরীর ডিম্বাকৃতি, সমতল, হলুদ, সাদা বা গোলাপি। প্রাপ্তবয়স্কদের 4 জোড়া পা থাকে এবং লার্ভার 3 জোড়া থাকে। স্ত্রী 400টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। টিকগুলি দ্রুত নড়াচড়া করতে এবং কাপড়ের নীচে হামাগুড়ি দিতে সক্ষম হয়, যার ফলে খুব অপ্রীতিকর চুলকানি হয়। মাইট লার্ভা মাইসেলিয়ামের ক্ষতি করে এবং প্রাপ্তবয়স্করা ফলের দেহে নড়াচড়া করে।
টিকগুলি খড়ের সাথে একসাথে মাইসেলিয়ামে প্রবেশ করে। এগুলি অপর্যাপ্তভাবে পাস্তুরিত বা খারাপভাবে গাঁজনযুক্ত স্তরে দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, আপনাকে কেবল খড় প্রতিস্থাপন করতে হবে।
আরেক ধরনের মাইট সারের সাথে সাবস্ট্রেটে প্রবেশ করে। স্ত্রী স্তর বা আবরণ স্তরে প্রায় 40টি ডিম পাড়ে। টিকটি কয়েক দিন থেকে এক মাসের মধ্যে বিকাশ লাভ করে। টিক্স দ্বারা সংক্রমিত ছত্রাকের ক্ষেত্রে, পায়ের গোড়া বাদামী হয়ে যায়, টুপি গোলাপী হয়ে যায়।
সাবস্ট্রেটের মাইটের উপদ্রব রোধ করতে, এটিকে 59 ° C তাপমাত্রায় প্রায় 12 ঘন্টা রাখতে হবে। আবরণের মাটি 60 ° C তাপমাত্রায় 8 ঘন্টার জন্য জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মাশরুমের বিছানাগুলির মধ্যে, আপনাকে উপযুক্ত প্রস্তুতির সাথে স্প্রে করতে হবে।
নেমাটোড চাষকৃত মাশরুমের কীটপতঙ্গের মধ্যেও রয়েছে। এগুলি 0.5 মিমি লম্বা ছোট কৃমি। তাদের মুখবন্ধ ছোরার মত। তারা এটির উপর মাইসেলিয়ামের থ্রেড ছিঁড়ে ফেলে। আপনি তাদের খালি চোখে দেখতে পারবেন না। এগুলি প্রায় সর্বদা মাশরুম সাবস্ট্রেটে পাওয়া যায়। নেমাটোড বিভিন্ন ধরনের হয়: কেউ কেউ মাইসেলিয়ামের কোষ থেকে সমস্ত পুষ্টি চুষে ফেলে, মাশরুমের ফলন হ্রাস করে; তাদের অত্যাবশ্যক ক্রিয়াকলাপের অন্যান্য পণ্যগুলি সাবস্ট্রেটকে ক্ষারযুক্ত করে, যার ফলে এর গুণমান খারাপ হয়। সবচেয়ে বিপজ্জনক সেই নেমাটোডগুলি যা মাইসেলিয়াম গ্রাস করে।
নেমাটোড দ্বারা প্রভাবিত একটি এলাকা বেশ সহজে স্বীকৃত হতে পারে। এই জাতীয় জায়গায় স্তরটি অন্ধকার, আর্দ্র হয়ে যায়; উপরন্তু, এটি একটি বরং নির্দিষ্ট গন্ধ অর্জন করে। এই এলাকায় মাইসেলিয়াম কখনও বৃদ্ধি পায় না। এই ধরনের অনুর্বর অঞ্চলগুলি নেমাটোড সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ। যদি তাদের মধ্যে অনেকগুলি থাকে তবে তারা খুব দ্রুত ঝাঁকের পর্যায়ে চলে যায়। এই পর্যায়ে, আচ্ছাদন উপাদানের উপর সাদা কলাম গঠিত হয়। তারা 0.5 সেমি পর্যন্ত উচ্চ হতে পারে এবং দশ হাজার এবং কয়েক হাজার ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। ঝাঁকে ঝাঁকে নেমাটোডগুলি সাবস্ট্রেট থেকে তোলা এবং অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা খুব সহজ। অধিকন্তু, এটি পরিষেবা কর্মী এবং পোকামাকড় উভয়ই দ্বারা পরিচালিত হয়।
এটি এড়ানোর জন্য, ফসল কাটার সময় সমস্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগ্রহ শেষ করার পরে এবং সাবস্ট্রেট আনলোড করার আগে, ঘরটি অবশ্যই বাষ্প করা উচিত।
কম্পোস্ট স্তূপের গাঁজন করার সময় বিভিন্ন নেমাটোডের বিকাশের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদীয়মান নেমাটোড প্রজাতিগুলি অনেক পরিবেশগত অবস্থার জন্য প্রতিরোধী, এমনকি হাইড্রোজেন সালফাইড এবং অ্যামোনিয়ার উচ্চ ঘনত্বের জন্যও। তারা শুধুমাত্র উচ্চ তাপমাত্রা ভয় পায়। অতএব, প্রতিরোধমূলক উদ্দেশ্যে, সাবস্ট্রেটটি অবশ্যই ভালভাবে বাধাপ্রাপ্ত এবং পাস্তুরাইজ করা উচিত।
উডলাইসস্প্রিংটেল চাষকৃত ছত্রাকেরও ক্ষতি করে। তারা মাইসেলিয়াম আক্রমণ করে। এই অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা মাটিতে বাস করে এবং মাটির সংস্পর্শে এলে উপস্তরে প্রবেশ করে। অতএব, আপনি মাটিতে স্তর প্রস্তুত করতে পারবেন না বা মাটির মেঝেতে বিছানা সাজাতে পারবেন না।
গোবর মাছি এছাড়াও চাষকৃত মাশরুমের একটি কীটপতঙ্গ। তার স্ত্রী সারে ৩০টি ডিম পাড়ে। তাদের থেকে বের হওয়া লার্ভা সার সহ বাগানে প্রবেশ করে। তারা সাধারণত কালো মাথা সহ কয়েক মিলিমিটার লম্বা হয়। শূককীটগুলি খুব উদাসীন, তারা ফলদায়ক দেহ খায়, তাদের মধ্যে প্যাসেজ কুঁচকে থাকে। খুব দ্রুত, প্রাপ্তবয়স্কদের লার্ভা থেকে জন্ম হয়, যা ছত্রাকের বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি টিক এবং নেমাটোড বহন করে। অন্যান্য ধরনের মাছিও ছত্রাকের জন্য ক্ষতিকর। এই কীটপতঙ্গ সাধারণত উপযুক্ত রাসায়নিক দিয়ে মোকাবেলা করা হয়।
ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ
সমস্ত জীব একদিন অসুস্থ হয়, কোন ব্যতিক্রম নেই। এটি জানা যায় যে কোনও রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ করা সহজ। এবং এই অর্থে মাশরুম ব্যতিক্রম নয়। সমস্ত ছত্রাক ভাইরাস, পরজীবী ছত্রাক এবং ক্ষতিকারক পোকামাকড় দ্বারা ভোগে।
পরেরগুলি প্রায়শই বিভিন্ন রোগের বাহক হয়। মাইসেলিয়ামে, সবকিছু আন্তঃসংযুক্ত, তাই রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভাল; তদুপরি, কিছু ক্ষেত্রে এটি অসম্ভব।
নিবিড় মাশরুম চাষের সময় কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন, কারণ সমস্ত কীটপতঙ্গের বেশিরভাগই সাবস্ট্রেটের গভীরতায় অবস্থিত এবং দৃশ্যমান নয়।
প্রধান নিয়ম যা আপনাকে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে দেয় তা হল মাইসেলিয়ামে স্যানিটারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পালন করা। পরজীবীরা কখনই ত্রাণ দেয় না এবং পাস্তুরাইজেশন, কম্পোস্টিং কৌশল, কর্মীদের একটি মাইক্রোক্লিমেট বজায় রাখার জন্য স্যানিটারি নিয়ম এবং শর্তগুলির লঙ্ঘনের ভুলগুলি ক্ষমা করে না। অনেক খামার স্যানিটারি নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা একটি সম্পূর্ণ সিস্টেম চালু করে। এটি প্রায়ই একটি মোটামুটি কার্যকর পদ্ধতি হতে সক্রিয় আউট.
রোগ এবং কীটপতঙ্গের সবচেয়ে সাধারণ কারণ এবং উত্সগুলি হল অপরিশোধিত বাতাস, খারাপভাবে পাস্তুরিত কম্পোস্ট, দুর্বলভাবে জীবাণুমুক্ত পাত্রের মাটি, দূষিত রোপণ মাইসেলিয়াম, সরঞ্জামগুলির অসাধু জীবাণুমুক্তকরণ, মাইসেলিয়ামে স্যানিটারি নিয়ম লঙ্ঘন।
যে কোনও রোগ যা মাইসেলিয়ামে বসতি স্থাপন করেছে তা অবিলম্বে বিভিন্ন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল রোগগুলি পোকামাকড় এবং টিক্সের সাহায্যে ছত্রাকের বীজের মাধ্যমে প্রবেশ করে। ছত্রাকের প্যাথোজেনগুলি ফসল কাটার সময় শ্রমিকদের হাত থেকে, পোকামাকড় থেকে প্রেরণ করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পোকামাকড়ের সাথে জল দেওয়ার সময় জলের ফোঁটার সাথে ব্যাকটেরিয়া মাইসেলিয়ামে প্রবেশ করা হয়। সমস্ত কীটপতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে এবং ছড়িয়ে পড়ে, কাঠের সমস্ত ছোট ফাটলে লুকিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের বের করে আনা প্রায় অসম্ভব।
জ্যাক ডেলমাস, একজন ফরাসি বিশেষজ্ঞ, 10টি আদেশ তৈরি করেছেন, যার পালন আপনাকে ছত্রাকের প্রতিযোগী বা পরজীবী জীবের সাথে সম্পর্কিত প্রায় সমস্ত ঝামেলা এবং সমস্যা এড়াতে দেয়। এগুলো হলো হুকুম।
মাশরুম সম্পর্কিত সমস্ত কিছু জীবাণুমুক্ত করা অপরিহার্য - এগুলি হল প্রাঙ্গণ, সরঞ্জাম, সরঞ্জাম, বাক্স, মাশরুমের জন্য ঝুড়ি ইত্যাদি।
ক্রমবর্ধমান মাশরুমের জন্য, আপনার বিচ্ছিন্ন ঘরগুলি বেছে নেওয়া উচিত যাতে বিদেশী জীবগুলি তাদের প্রবেশ করতে না পারে। রোগ এবং কীটপতঙ্গের অনুপ্রবেশের সমস্ত উপায় অবরুদ্ধ করতে হবে।
ক্রমবর্ধমান মাশরুমের জন্য আচ্ছাদন মাটি অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করা উচিত বা ইতিমধ্যে জীবাণুমুক্ত করা উচিত। এতে বিভিন্ন ধরনের অণুজীব বসবাস করতে পারে। জীবাণুমুক্ত একটি মিশ্রণ যা বাষ্প বা ফরমালিন দিয়ে চিকিত্সা করা হয়েছে। মাটি থেকে জীবাণুমুক্ত মাটি বের করা হয়।
অবিলম্বে সমস্ত বর্জ্য অপসারণ করা আবশ্যক.
জৈবিক দূষণের উত্স, যেমন বর্জ্য কম্পোস্ট, সার, সংগৃহীত মাশরুম, উৎপাদন বর্জ্য, মাইসেলিয়ামের কাছাকাছি ফেলে রাখা উচিত নয়। আপনাকে রাসায়নিক দূষণ থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। এটি বায়ুচলাচল ব্যবস্থার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ধোঁয়া এবং বাষ্পের আকারে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে।
যে ঘরে রোগটি দেখা দিয়েছে তা অবিলম্বে বিশ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
কম্পোস্টিং প্রযুক্তি খুব নিখুঁতভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। আপনি শুধুমাত্র একটি কংক্রিট মেঝে কম্পোস্ট প্রয়োজন. মনে রাখবেন যে মাটিতে প্রায়শই বিভিন্ন অণুজীব থাকে, রোগের কারণকারী এজেন্ট।
কম্পোস্ট শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ুচলাচল এ প্রস্তুত করা উচিত। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে সাবস্ট্রেটটি ছত্রাকের জন্য নির্বাচনী হবে, অর্থাৎ, এটি বিশেষভাবে ছত্রাকের জন্য উপযুক্ত হবে, প্রতিযোগী অণুজীবের জন্য নয়।
ছত্রাকের বিকাশের সমস্ত পর্যায়ে, সর্বোত্তম মাইক্রোক্লিমেট অবস্থার নিরীক্ষণের জন্য একজনকে সর্বদা খুব উদ্যোগী হতে হবে।
মাইসেলিয়ামের সমস্ত কাজ অবশ্যই সেই প্রাঙ্গণ থেকে সেই দিকে সঞ্চালিত হতে হবে যেখানে মাশরুমগুলি সবেমাত্র সেই জায়গায় বাড়তে শুরু করেছে যেখানে তারা ফসল কাটাচ্ছে, অর্থাৎ, অল্প বয়স্ক ফসল থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। আপনি বিপরীত দিকে যেতে পারবেন না।
এই আদেশগুলির সাথে সম্মতি সর্বদা প্রাঙ্গনের নির্বীজন দিয়ে শুরু হয়। কম্পোস্ট লোড করার আগে এটি নতুন মাইসেলিয়ামেও করা উচিত। যদি এটি একটি বোমা আশ্রয়, খনি কাজ বা পাথরের দেয়াল সহ অন্যান্য ঘর হয়, তবে তাদের পৃষ্ঠ এবং ছাদটিও ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। মেঝে মাটির হলে উপরের স্তরটি সরিয়ে ফেলতে হবে। পাথরের ছাদ এবং দেয়াল সাদা করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে, চুনে কপার সালফেটের 30% দ্রবণ যোগ করা প্রয়োজন। এটি নিয়মিত সাদা করা প্রয়োজন। এটি পরিষ্কার, প্রায় জীবাণুমুক্ত বাতাসের নিশ্চয়তা দেবে। অন্যান্য কক্ষে, দেয়াল এবং ছাদ অবশ্যই রাসায়নিক জীবাণুনাশক দিয়ে চিকিত্সা করা উচিত। তারা নীচে আলোচনা করা হবে.
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে সাবস্ট্রেটের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সুরক্ষার জন্য, এতে থার্মোফিলিক ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই গুণিত হবে।
মাইসেলিয়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চাষের শেষে প্রাঙ্গনের জীবাণুমুক্ত করা এবং ব্যবহৃত স্তরটির নিরপেক্ষকরণ। প্রথম দুটি শর্ত পূরণ হলেই বাকি সবকিছু কার্যকর হবে। সমস্ত রোগজীবাণু এবং কীটপতঙ্গ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংখ্যাবৃদ্ধি করে। তাদের বিকাশের জন্য এটি প্রয়োজন, এবং শুধুমাত্র তখনই তারা চাষকৃত ছত্রাকের মাইসেলিয়ামকে দমন করতে শুরু করবে। এটা স্পষ্ট যে তারা যত তাড়াতাড়ি মাইসেলিয়ামে থাকবে, তত বেশি ক্ষতি করবে। এই সংযোগে, ব্যবহৃত সাবস্ট্রেট একটি নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা পালন করে, যেহেতু এটিতে স্পোর, প্যাথোজেন এবং কীটপতঙ্গের লার্ভা সংরক্ষণ করা হয়। যদি পুরানো সাবস্ট্রেটটি স্ট্রেচার বা হুইলবারোতে সরানো হয়, তবে এর অবশিষ্টাংশ, এমনকি ক্ষুদ্রতম কণাগুলি দুর্ঘটনাক্রমে রাস্তায় পড়ে যেতে পারে। যদি ব্যবহৃত সাবস্ট্রেটটি মাইসেলিয়ামের পাশে স্তূপ করা হয় বা নতুন সাবস্ট্রেটের জন্য ব্যবহৃত একই পরিবহনে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে এই জাতীয় ক্ষেত্রে ভাল ফসল হবে না।
ব্যয়িত সাবস্ট্রেট দুটি উপায়ে অপসারণ করা যেতে পারে। প্রথমে, এটি বের করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। তবে যতদূর সম্ভব এটি নিয়ে যাওয়া বা গ্রিনহাউস মালিকদের কাছে বিক্রি করা ভাল। যাইহোক, এর আগে সাবস্ট্রেটটিকে জল বা 4% ফরমালিন দ্রবণ, 1% কপার সালফেট দ্রবণ বা ক্লোরিনযুক্ত ফেনল দিয়ে আর্দ্র করতে হবে। ভেজা স্তরগুলি শুকনো স্তরগুলির চেয়ে নিরাপদ। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, সাবস্ট্রেটটিকে অবশ্যই সাইটে জীবাণুমুক্ত করতে হবে বা তাপ প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। যে কোনও ক্ষেত্রে, চেম্বারটি অবশ্যই তাপীয়ভাবে চিকিত্সা করা উচিত। আপনি দুটি উপায়ে জীবাণুমুক্ত করতে পারেন: বাষ্প এবং রাসায়নিকভাবে। স্টিমিং করার সময়, ঘরটি 70-100 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় 12 ঘন্টা ধরে চিকিত্সা করা হয়। বাষ্পের উত্স থেকে সবচেয়ে দূরে কোণে, কম্পোস্টের নীচে একটি ইলেকট্রনিক থার্মোমিটার স্থাপন করা উচিত এবং এর রিডিংগুলি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। চেম্বারে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করান। যখন তাপমাত্রা 70 ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেড়ে যায়, সময় শুরু করুন। মাইসেলিয়ামটি অবশ্যই তাপীয়ভাবে উত্তাপযুক্ত হতে হবে এবং অন্তরণ স্তরটি অবশ্যই অবস্থিত হতে হবে যাতে বাষ্প এতে না যায়। ভিতরের দেয়াল বায়ুরোধী না হলে প্লাস্টিকের মোড়ক দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এই পরিমাপ প্যাথোজেন ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। বিল্ডিং সাপোর্ট সিস্টেম অবশ্যই সমস্ত তাপমাত্রার ওঠানামা সহ্য করতে সক্ষম হবে। যে বিল্ডিংগুলি এর জন্য প্রস্তুত নয় তা খুব দ্রুত জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। যদি মাশরুম বেশি পরিমাণে জন্মায়, তবে বাষ্প জীবাণুমুক্ত করা সর্বোত্তম উপায়। এছাড়াও, এই পদ্ধতিটি সবচেয়ে নিরাপদ।
বেসে ছোট মাইসেলিয়ামে, প্রস্তুত বিল্ডিং উপলক্ষে, রাসায়নিক তাপীয় চিকিত্সা করা ভাল।সবচেয়ে সহজ উপায়টি নিম্নরূপ: গুঁড়ো সালফার অবশ্যই 1: 3 অনুপাতে অ্যামোনিয়াম বা পটাসিয়াম নাইট্রেটের সাথে মিশ্রিত করতে হবে, লোহার বেকিং শীটে রেখে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে। একই সময়ে, রুম শক্তভাবে বন্ধ করা উচিত। সালফার ডাই অক্সাইড বেরিয়ে আসবে, যা ঘরটিকে জীবাণুমুক্ত করবে। এই ক্ষেত্রে, সালফার ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব 40 মিলিগ্রাম / মি অতিক্রম করা উচিত নয়। অন্যথায়, ঘরটি বায়ুচলাচল করা খুব কঠিন হবে। তারপরে আপনাকে এটি কমপক্ষে 10 দিনের জন্য প্রচার করতে হবে।
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল মিথিলিন ব্রোমাইড দিয়ে রুমটি ধোঁয়া দেওয়া। উচ্চ মানের জীবাণুমুক্তকরণ 20-25 ° C তাপমাত্রায় 600 গ্রাম প্রতি ঘন্টা / m2 মাত্রায় ঘটে, যেন ঘরটি 1% মিথাইল ব্রোমাইড দিয়ে 17 ঘন্টার জন্য চিকিত্সা করা হয়েছিল। কিন্তু 16 ঘন্টার মধ্যে, রাসায়নিকের ঘনত্ব (ফুমিগ্যান্ট) 2 গুণ কমে যায়, তাই অভিজ্ঞ পেশাদাররা সাধারণত একটি ডবল ডোজ আগে থেকেই প্রস্তুত করে। মিথিলিন ব্রোমাইড 2% ক্লোরোপাইরাকিনের সাথে ব্যবহার করা উচিত, কারণ আগেরটি গন্ধহীন এবং টিয়ার গ্যাস অবিলম্বে ফুটো সনাক্ত করবে।
কাঠের কাঠামো সবসময় বিভিন্ন পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গের জন্য একটি ভাল আশ্রয় হিসাবে কাজ করে। উপরন্তু, তারা বাষ্প চিকিত্সা বেশ ভাল সহ্য করে না, কারণ তারা দ্রুত ভিজে যায়। সেই কারণেই সমস্ত কাঠের ভবনগুলিকে সোডিয়াম প্যারাক্লোরোফেনোলেট বা সোডিয়াম পেন্টাক্লোরোফেনোলেট দিয়ে গর্ভধারণ করতে হবে। তারা শুধুমাত্র পচা থেকে গাছ রক্ষা করবে না, কিন্তু সব পোকামাকড় জন্য একটি বাধা হিসাবে কাজ করবে। বিকল্পভাবে, প্রতিটি তাপ চিকিত্সার পরে, কাঠের অংশগুলিকে ব্লিচ এবং কার্বলিক অ্যাসিডের দ্রবণ দিয়ে আর্দ্র করা যেতে পারে। চিকিত্সা করা সাবস্ট্রেট একই মিশ্রণ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
রাসায়নিকের সাথে বাষ্প চিকিত্সা একত্রিত করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথমে সমস্ত দেয়াল, মেঝে, তাককে কাপরোজান দিয়ে ক্লোরোফস দিয়ে চিকিত্সা করুন এবং তারপরে 6 ঘন্টার জন্য সবকিছু বাষ্প করুন। অথবা ঘনীভূত 40% ফরমালিন বা চুনের সাথে কপার সালফেটের মিশ্রণ দিয়ে ঘরের চিকিত্সা করুন। প্রথমে দেয়াল, মেঝে এবং ছাদ ক্লোরিন ক্ষার 1% দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ফর্মালডিহাইড দিয়ে রুম ধোঁয়া। 100 বর্গ মিটারের জন্য, আপনাকে 2 লিটার 40% ফরমালিন এবং 400 গ্রাম ব্লিচ নিতে হবে। খোলা এনামেল বা চীনামাটির বাসন পাত্রে ব্লিচ রাখুন। ঘরের পুরো এলাকা জুড়ে মেঝেতে চুন দিয়ে খাবার রাখুন, ফর্মালডিহাইড যোগ করুন। ফলাফল হল ফর্মালডিহাইড গ্যাস, যা পুরো ঘরকে ঢেকে ফেলবে। ঘরের ভিতর থেকে প্রস্থানের দিকে ফর্মালডিহাইড ঢেলে দিন। পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। তারপর 2 দিনের জন্য দরজা বন্ধ করুন। তারপর 4 দিনের জন্য রুম বায়ুচলাচল.
আপনি এটি একটি 4% ব্লিচ দ্রবণ দিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এটি করার জন্য, অল্প পরিমাণে জলে প্রয়োজনীয় পরিমাণে চুন পাতলা করুন। এটি একটি কাঠের বাটিতে করা ভাল। তারপরে প্রয়োজনীয় ঘনত্বের দ্রবণ পেতে জল যোগ করুন এবং 2 ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর 2 দিনের জন্য বন্ধ করুন। এই পদ্ধতিটি সাবস্ট্রেট প্রয়োগের 15 দিন আগে করা উচিত। ক্লোরিন সব বাষ্পীভূত করা উচিত.
আপনি একটি ঘরে ফরমালিন স্প্রে করতে পারেন। 10 লিটার পানির জন্য 0.25 লিটার 40% ফরমালিন নিন। ঘরের 100 মিটারের জন্য, 20 লিটার সমাধান প্রয়োজন হবে। ঘরটি অবশ্যই ভালভাবে স্প্রে করা উচিত এবং 2 দিনের জন্য শক্তভাবে বন্ধ করা উচিত। তারপর বায়ুচলাচল।
ফরমালিন হল মাশরুম জন্মানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি প্রতিকার। তবে এটি কার্যত ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে না এবং সর্বদা ছত্রাকের বীজ ধ্বংস করে না।
সংক্রমণের উত্স প্রায়শই স্পোর সহ ধুলো। প্রতিটি দরজার সামনে জীবাণুনাশক ভেজানো একটি ভেজা মাদুর রাখতে হবে। প্রাঙ্গনে প্রবেশকারী প্রত্যেককে এটিতে পা রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে 2% ফরমালিন দ্রবণ দিয়ে সমস্ত প্যাসেজ জল দিন। সমস্ত যন্ত্র একই দ্রবণে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ফসল কাটার জন্য, আপনাকে প্রতিবার নতুন ঝুড়ি ব্যবহার করতে হবে। বাক্স না নেওয়াই ভালো। যদি পুরানো ঝুড়ি নেওয়া হয় তবে অবশ্যই সেগুলিকে ব্লিচের দ্রবণে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।যদি মাশরুমগুলি প্লাস্টিকের ব্যাগে জন্মায়, তবে তাদের জীবাণুমুক্ত করার দরকার নেই, কারণ সেগুলি কেবল 1 বার ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ফসল কাটার পরে কাঠের ক্রেটগুলি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। পরেরটি প্রায়শই বাষ্পের সাথে 12 ঘন্টার জন্য বাহিত করা উচিত, বা এর জন্য, সমস্ত বস্তুকে একটি জীবাণুনাশকের দ্রবণে নিমজ্জিত করা উচিত, উদাহরণস্বরূপ সোডিয়াম পেন্টাক্লোরোফেনোলেট। নেমাটোডের উপস্থিতির প্রথম লক্ষণগুলিতে, আপনাকে অবিলম্বে পুরানো পাত্র থেকে মুক্তি পেতে হবে এবং একটি নতুন অর্জন করতে হবে।
বিদেশী ক্ষতিকারক অণুজীব থেকে মাইসেলিয়াম রক্ষা করা খুব কঠিন। তারা সরঞ্জাম, সরঞ্জাম, জামাকাপড়, কেসিং স্তর, কম্পোস্ট এবং বায়ুচলাচল সহ ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম। মাইসেলিয়ামে আনা সমস্ত আইটেম প্রথমে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বায়ুচলাচল সিস্টেম থেকে বায়ু ফিল্টার করা উচিত। মাইসেলিয়ামের বৃদ্ধি এবং বিকাশের সময়কালে এটি করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্যে, আপনি ফিল্টার মত নিতে পারেন. যদি প্রচুর পরিমাণে বাতাস চালিত হয়, তবে এই ক্ষেত্রে জলের পর্দা ব্যবহার করা ভাল, অর্থাৎ, জলপ্রপাতের মতো জলের ফোঁটার পর্দার মধ্য দিয়ে বাতাসকে যেতে দেওয়া।
"সংক্রমণের প্রবেশদ্বার" এর মতো একটি জিনিস রয়েছে। মাইসেলিয়ামের প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি এলাকা - এটি গেট এবং ছত্রাকের সংক্রামক রোগ - পরিষ্কার হতে হবে। প্রবেশদ্বার থেকে যতদূর সম্ভব কম্পোস্টের স্তূপ রাখুন। এছাড়াও, এটি স্থাপন করার সময়, বাতাসের মতো একটি ফ্যাক্টর বিবেচনা করা প্রয়োজন। কম্পোস্টের স্তূপ প্রবেশপথের পাশের দিকে সাজিয়ে রাখা ভালো। মাইসেলিয়ামের প্রবেশদ্বারের কাছে কোনও ঘন ঝোপ বা আবর্জনা ফেলা উচিত নয়, কারণ এগুলি সংক্রমণের প্রাকৃতিক উত্স।
বায়ু দূষণের শিল্প উত্স, যদি কাছাকাছি পাওয়া যায়, তাও বিবেচনা করা উচিত।
এই সমস্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সত্ত্বেও, অনেক মাইসেলিয়াম পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করার একমাত্র পরিমাপ হবে এই প্রাঙ্গণগুলির সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা। ফসল নির্বিশেষে তাদের জীবাণুমুক্ত করা দরকার। এর জন্য, এগুলি সাধারণত পটাশ বা টেবিল লবণ, চক দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়, ফরমালিন দিয়ে ঢেলে দেওয়া হয়, মিথিলিন ব্রোমাইড দিয়ে চিকিত্সা করা হয়, অর্থাৎ, সংক্রমণের উত্সকে ধ্বংস করতে পারে এমন কোনও শক্তিশালী পদার্থ ব্যবহার করা অনুমোদিত। নির্ধারিত সময়ের আগে দূষিত প্রাঙ্গনেও তাপ চিকিত্সা করা হয়।
সাবস্ট্রেট এবং কম্পোস্ট প্রস্তুতির জন্য সমস্ত প্রযুক্তিগত পদ্ধতি কঠোরভাবে পালন করা আবশ্যক। এটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান ব্যবস্থা। ভালভাবে প্রস্তুত কম্পোস্টে, মাইসেলিয়াম খুব দ্রুত বিকাশ করে এবং অন্যান্য অণুজীবের বিকাশকে বাধা দেয়। কম্পোস্টের এই বৈশিষ্ট্যকে সিলেক্টিভিটি বলা হয়। এর অর্থ একটি নির্দিষ্ট জীবের বৃদ্ধির জন্য শর্ত তৈরি করা। একটি স্তরে, নির্বাচনীতা বেশ সহজে নির্ধারিত হয় - এটি যদি এর তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা মাশরুমের সফল ফল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলির সাথে মিলে যায়।
সমস্ত কাজ শুরু করা উচিত যেখানে মাইসেলিয়াম বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সেই ঘরে চলে যাওয়া উচিত যেখানে চাষ প্রক্রিয়া ফসল কাটার সাথে শেষ হয়। এটি সেখানেই পরজীবী এবং প্রতিযোগী জীবগুলি জমা হয় এবং ছত্রাকের মধ্যে তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা, বিপরীতে, হ্রাস পায়। ফসল কাটা উচিত এবং নির্দিষ্ট ক্রমে প্রাঙ্গন পরিষ্কার করা উচিত - অল্প বয়স্ক মাশরুম থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। বাতাসকেও একই দিকে প্রবাহিত করতে হবে - তরুণ ফসল থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। একটি রুম ডিজাইন করার সময়ও এই ধরনের বিবরণ অবিলম্বে বিবেচনা করা আবশ্যক। এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাওয়ার সময়, আপনাকে সাবান দিয়ে আপনার হাত ধুতে হবে এবং যন্ত্রগুলিকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ফসল কাটার সময়, আপনার অসুস্থ মাশরুমগুলি তোলা উচিত নয় - সেগুলি অবশ্যই সুস্থ মাশরুম থেকে আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হবে।
আরও একটি পয়েন্ট উল্লেখ করা উচিত। মাশরুম, এমনকি বাড়ির ভিতরে, সবসময় ঋতু পরিবর্তন অনুভব করে। এবং সর্বোচ্চ ঘটনা সবসময় গ্রীষ্মে ঘটে। অতএব, মাশরুম চাষ করা প্রয়োজন যাতে তাদের চাষের শুরু গ্রীষ্মে না হয়।
কীটনাশক এবং অন্যান্য সমাধান সম্পর্কে কয়েকটি শব্দ। প্রথমত, ছত্রাকের মাইসেলিয়ামের রোগ প্রতিরোধের জন্য সমস্ত কীটনাশক শুধুমাত্র কম ঘনত্বে মাইসেলিয়ামে ব্যবহার করা উচিত। এগুলি কেসিং মিশ্রণ বা কম্পোস্টের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বা জলে দ্রবীভূত করা যেতে পারে এবং এই দ্রবণ দিয়ে বিছানার উপরে ঢেলে দেওয়া যেতে পারে। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে প্যাথোজেনগুলি সময়ের সাথে প্রয়োগ করা কীটনাশকের প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তাই তাদের পর্যায়ক্রমে নতুন দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক রয়েছে। তদতিরিক্ত, বিজ্ঞান স্থির থাকে না এবং প্রতিদিন নতুন ওষুধ উপস্থিত হয়। কিন্তু তাদের ভিত্তি প্রায় সবসময় একই।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও কোন ওষুধ তৈরি করা হয়নি, তাই শুধুমাত্র সুস্থ রোপণ উপাদান ব্যবহার করা উচিত। আপনাকে সরবরাহের বায়ুচলাচলের উপর একটি ভাল ফিল্টার লাগাতে হবে এবং উচ্চ-মানের তাপ চিকিত্সা চালাতে হবে, যাতে ছত্রাকের বীজ মারা যায়, কারণ তাদের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ভাইরাস সংক্রমণ হয়। \
ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি খুব কার্যকর প্রতিকার রয়েছে: বিছানাগুলিকে 0.25% ব্লিচের দ্রবণ দিয়ে জল দেওয়া উচিত। কিন্তু একই সময়ে, কভার স্তরে একটি কালো জোন গঠন করা উচিত নয়। এটি লক্ষ করা উচিত যে হ্যালোজেন সহ প্রায় সমস্ত জলীয় দ্রবণ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ভাল।
ম্যালাথিয়ন, ডায়াজিনন, ডাইক্লোরভোস, এন্ডোসালফান এবং অন্যান্য কীটনাশক পোকামাকড় থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। ডায়াজিনন একটি প্রফিল্যাকটিক এজেন্ট, এটি ফসল কাটার মধ্যে মাসে একবার ভিতরে এবং বাইরে খালি মাইসেলিয়াম দিয়ে চিকিত্সা করা হয়। যদি পাস্তুরাইজেশন চেম্বারে র্যাকগুলিতে করা হয়, তবে পাস্তুরাইজেশন, বপন এবং সমাপ্তির আগে ডায়াজিনন চিকিত্সা করা উচিত।
চেম্বারে Dichlorvos প্রতি সপ্তাহে চিকিত্সা করা হয়। এটি পোকামাকড়ের সংখ্যার তীব্র বৃদ্ধির সাথেও ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্প্রিংটেলের ব্যাপক বিকাশের সাথে, চেম্বারের মেঝে এবং দেয়ালগুলি অবশ্যই ডিক্লোরভোসের 0.03% দ্রবণ দিয়ে স্প্রে করতে হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ একবারে 2টি কীটনাশক বিকল্প করেন। এই ক্ষেত্রে, কীটপতঙ্গের পক্ষে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। অবশ্যই, সাবস্ট্রেটের তাপ প্রক্রিয়াকরণ এবং পাস্তুরাইজেশনের সময়, সমস্ত পোকামাকড় ধ্বংস করা প্রয়োজন - প্রতিটি ফাটল এবং ফাটলে, বাতাসকে ফিল্টার করার জন্য।
ছত্রাকের প্রতিযোগী এবং পরজীবীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত স্যানিটারি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একচেটিয়াভাবে রাসায়নিক উপায়ে লড়াই করা অবাঞ্ছিত, যেহেতু ছত্রাকনাশক ফসলের ক্ষতি করতে পারে। সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগত ছত্রাকনাশক হল বেনোমিল। এটি ফাউন্ডেশনল এবং বেনলেট নামেও পাওয়া যাবে। এই প্রস্তুতি একই সক্রিয় পদার্থ ধারণ করে, কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা উত্পাদিত হয়। ফান্ডাজোল অন্যান্য 2টি ওষুধের তুলনায় উচ্চ ঘনত্বে ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি গুণমানের দিক থেকে কিছুটা খারাপ।
আবরণ মিশ্রণটি আর্দ্র করার সময় ভর্তি করার আগে এটি 15 গ্রাম / মি 2 এর ডোজ এ পরিচালিত হয়। যদি সাদা বা শুকনো পচা, ছাঁচের প্রাদুর্ভাবের সত্যিকারের হুমকি থাকে, তবে ডোজটি 45 গ্রাম / মিটারে বাড়ানো উচিত। একটি ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রে, মাইসেলিয়ামকে 1 গ্রাম / মি একটি ডোজে একটি ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা উচিত। আপনি মানকোজেব, জিনেব, মানেবও ব্যবহার করতে পারেন।
নেমাটোড এবং টিক্সের বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করা আরও কঠিন। তারা কম্পোস্টে জমা হয় এবং চাষকৃত ছত্রাকের মাইসেলিয়াম খাওয়ায়। এখানে, প্রথমত, সাবস্ট্রেটটি ভালভাবে পাস্তুরাইজ করা প্রয়োজন। প্যারাক্লোরোফেনোলেট এবং পেন্টাক্লোরোফেনোলেট নেমাটোডের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। সমস্ত কাঠের অংশ এবং বস্তু তাদের সঙ্গে impregnated হয়. এগুলি কম্পোস্ট করার কয়েক দিন আগে চেম্বারে স্প্রে করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক। এগুলি কার্বলিক অ্যাসিডের মতো অন্যান্য অ্যান্টিসেপটিকগুলির সাথে প্রতিস্থাপন করাও সহজ। মনে রাখবেন যে সমস্ত রাসায়নিক পচন বা উদ্বায়ী হয় না। অনেকগুলি মাশরুমের ফলদায়ক দেহে জমা হয়। অতএব, রোগ, পরজীবী এবং কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাসায়নিক এজেন্টগুলি খুব সাবধানে এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও, উদ্যানপালক এবং উদ্যানপালকদের জন্য বইগুলিতে দেওয়া একই প্রক্রিয়াকরণের হারগুলি ব্যবহার করবেন না, যদিও প্রস্তুতিগুলি একই।
যদি মাশরুমগুলি তাদের সংগ্রহের জন্য কার্যত প্রস্তুত থাকে, তবে কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে রাসায়নিক এজেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। এখানে আপনি ভেষজ আধান প্রয়োগ করতে পারেন। রাসায়নিকের তুলনায় এগুলি নিরাপদ। এছাড়াও, আপনি যদি তাদের সাথে একটি মাশরুম স্প্রে করেন তবে আপনি অবিলম্বে এটি গ্রহণ করতে পারেন এবং এটি খেতে পারেন। অবশ্যই, ভেষজ আধানের একটি বরং হালকা প্রভাব রয়েছে এবং রাসায়নিকের মতো সমস্যাটি সম্পূর্ণরূপে সমাধান করে না। কিন্তু তারা কার্যকরী হতেও সক্ষম। এটি লক্ষ করা উচিত যে এই জাতীয় ইনফিউশনগুলির ব্যবহারের কোনও সঠিক তথ্য নেই, তাই এগুলি সাবধানে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলি মাশরুমের স্বাদ, রঙ এবং গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে।
রসুনের স্প্রেয়ার পোকামাকড় এবং ছত্রাকজনিত রোগ দূর করে। এর প্রভাব 10 দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই জাতীয় আধান প্রস্তুত করার জন্য, আপনাকে রসুনের প্রেস ব্যবহার করে 90 গ্রাম রসুন কাটতে হবে, 10 মিলি স্বাদহীন তেল গ্রুয়েলে ঢেলে দিতে হবে। দুই দিন পর সাবানের দ্রবণে তেলের মিশ্রণ মিশিয়ে নিন। পরেরটি নিম্নরূপ প্রস্তুত করা হয়: 10 গ্রাম সাবান অবশ্যই 500 মিলি জলে দ্রবীভূত করতে হবে, ভালভাবে মিশ্রিত করতে হবে এবং এক দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ছেঁকে নিন এবং একটি শক্তভাবে সিল করা পাত্রে সংরক্ষণ করুন। স্প্রে দ্রবণটি নিম্নরূপ প্রস্তুত করা হয়: মিশ্রণের 1 অংশ পানির 100 অংশে মিশ্রিত হয়। উপদ্রবের মাত্রা বেশি হলে পানি কম খেতে হবে।
আপনি কিছু ভেষজ দিয়ে আধানও তৈরি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ল্যাভেন্ডার এবং ট্যান্সি মাছি দূর করে। আধান প্রস্তুত করতে, তাজা বা শুকনো কাঁচামালের উপর ফুটন্ত জল ঢেলে দিন। এখানে অনুপাত পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন নেই - আধানের শক্তি মাইসেলিয়ামের সংক্রমণের ডিগ্রির উপর নির্ভর করে।
